আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মাগুরা জেলার পেশা।
মাগুরা জেলার পেশা:-

মাগুরা জেলায় বর্তমানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সবজি এবং ফলমূল উৎপাদন হচ্ছে। এখানে উৎপাদিত শাক সবজি, কাচামরিচ রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় হয়। কাঁচামাল কেনা বেচার জন্য মাগুরা শহরের ঢাকার রোডে একটি বৃহত্ত কাঁচাবাজার গড়ে উঠেছে। মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর এলাকায় প্রচুর লিচু উৎপন্ন হয়। এছাড়া মাগুরাতে প্রচুর কলা উৎপন্ন হয়। পাট বিক্রয়ের স্থল হিসেবে শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাধ হাট এবং মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর হাট বিশেষভাবে পরিচিত।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে এক সমৃদ্ধ জনপদের নাম মাগুরা। ১৭৮৬ সালে ব্রিটিশ আমলে বাংলা প্রদেশের প্রথম গঠিত জেলা যশোর। কিন্তু একজন জেলা কর্মকর্তার পক্ষে এ বৃহৎ জেলার আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ ও প্রশাসনিক কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মুলত মগ জলদস্যুদের হাত থেকে এ জেলার উত্তরাঞ্চলের জন সাধারণকে রক্ষা করার জন্যই ১৮৪৫ সালে যশোর জেলার প্রথম মহকুমা করা হয় মাগুরাকে। মহকুমা গঠন করার পর প্রথম মহকুমা অফিসার হিসেবে আসেন মিঃ ককবার্গ।

মহকুমা হবার আগে মাগুরা অঞ্চল ভূষণা ও মহম্মদপুর নামেই সুবিখ্যাত ছিল। পাল রাজত্বের সময় এ অঞ্চলের উত্তর ও উত্তর পূর্ব অংশ শ্রীপুর ও রাজাপুর নামে পরিচিত ছিলো। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব অংশ ভূষনা। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হবার পর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসাবে মাগুরাকে ১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত করা হয়।
প্রথম ডেপুটি কমিশনার নিয়োগ করা হয় অরবিন্দু করকে। মাগুরা জেলা মোট ৪টি থানা নিয়ে গঠিত। যথা মাগুরা সদর , শ্রীপুর , শালিখা, ও মহম্মদপুর যা ২টি সংসদীয় যথা মাগুরা-১ (জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা) ও মাগুরা-২ (জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা) নির্বাচনী এলাকায় বিভক্ত।

আরও পড়ূনঃ
