মাগুরা জেলার জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মাগুরা জেলার জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য।

মাগুরা জেলার জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য:-

জনসংখ্যা ২০২২ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৪১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ: ৫০.৫৬%, মহিলা: ৪৯.৪৪%। ১০৪৮ বর্গ কিমি ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট মাগুরা জেলার উত্তরে রাজবাড়ী জেলা, দক্ষিণে যশোর জেলা ও নড়াইল জেলা, পূর্বে ফরিদপুর জেলা, পশ্চিমে ঝিনাইদহ জেলা।

 

মাগুরা জেলার জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য
ছান্দড়া জমিদার বাড়ি – মাগুরা জেলা

 

মাগুরার নামকরণ করা হয় মুঘল যুগে। এর নামকরণ কীভাবে হয়েছে তা স্থিরভাবে বলা দুস্কর। কিংবদন্তি থেকে জানা যায় এক কালে সুন্দরবনের কাছাকাছি এই অঞ্চলে মগ জল দস্যুদের দারুণ উৎপাত ছিল। কুমার নদী ও নবগঙ্গার তীরে অবস্থিত বর্তমান মাগুরা শহরে ছিল তাদের আখড়া। নদী পথে তারা বর্গীদের মতো দস্যুপনা করতো। তাদের নামেই মগরা থেকে মাগুরা হয়েছে।

নেত্রকোণাতে ও দেখা যায় সেখানে মগরা নামে একটি নদী ও রয়েছে। বাংলাদেশে মাগুরা নামে আরো বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে, তবে জেলার মর্যাদায় উন্নীত হওয়ায় মাগুরা এখন শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার। তবে কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে মুঘল নবাব মুর্শিদকুলী খার আমলে মগদের অগ্রযাত্রাকে যেখানে প্রতিহত করে ঘুরিয়ে দেওয়া হত সেই স্থানটির নাম রাখা হত মগ-ঘুরা।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

মগ-ঘুরাই পরবর্তীতে মাগুরা হয়েছে। মাগুরা তথা যশোর- ফরিদপুর এলাকায় মগ- দস্যুদের অত্যাচার ও লুষ্ঠনের কাহিনী আজও ইতিহাসের এক বেদনাময় অধ্যায়। “ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে” প্রচলিত এই ছড়াটিও সে সময়ের প্রকৃত চিত্রই তুলে ধরেছে।

মুহম্মদপুরের রাজা সীতারাম রায় ও যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য মগ-বর্গী দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখেন। বলা চলে দস্যুদের এই দুই রাজাই প্রতিহত ও পরাজিত করেন। বহু মগ বর্গী সীতারামের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং সেনাবাহিনী ও রাজ কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পান। আজকের মাগুরা শহরে তাদের নিবাসের ব্যবস্থাও করা হয়।

 

মাগুরা জেলার জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য
মধুমতি নদী – মাগুরা জেলা

 

আরও পড়ূূনঃ

Leave a Comment